আর নয় শাওনী সিংহ রায় মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে । মমতাকে চিঠি তৃণমূল নেতাদের

আর নয় শাওনী সিংহ রায়। শাসক দলের বিধায়কের নাম করে বলছেন খোদ শাসক দলের নেতারাই। তারাই চিঠি লিখলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।



চিঠিতে সাফ অভিযোগ, শুভেন্দু অধিকারীর সাথে যোগাযোগ রেখে চলছেন শাওনী; করছেন দল ভাঙ্গানোর চেষ্টাও। রয়েছে মোট সাত’টি অভিযোগ। 


অভিযোগের ব্যাখ্যা দেওয়ার পরেই কর্মীদের আবেদন , শাওনীকে যেন বিধানসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে প্রার্থী না করা হয়।



২০১৬ সালেও কংগ্রেসের প্রতীকে মুর্শিদাবাদ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে জেতেন শাওনী সিংহ রায়। ২০১৭ সালে কংগ্রেসের নেতৃত্ব দেন ডোমকল পৌরসভা নির্বাচনেও। তবে ২০১৮’র মার্চ মাসেই শাসক দলে যোগ দেন তিনি।দাবি করেন, উন্নয়নের কর্মকান্ডে শামিল হতেই তার ওই যোগদান।




এবার সেই বিধায়িকার বিরুদ্ধেই ক্ষোভ জানিয়েছেন এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের এক অংশ।
চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে দলের প্রার্থী আবু তাহের খানের বিপক্ষে ভোট করেছেন শাওনী।




উঠছে দমকল দপ্তরে ১১ জনকে অর্থের বিনয়মে চাকরি দেওয়ারও অভিযোগ। চিঠিতে লিখত ভাবে জানানো হয়েছে, আট মাস এলাকার মানুষের সাথে যোগাযোগ রাখেন না বিধায়ক শাওনী । 



এবং অভিযোগের কারণে তিনি নাকি জনসংযোগহীনও। সেই কারণেই দলনেত্রীর কাছে কর্মীরা আবেদন করেছেন ,” আমাদের ৬৪ নং মুর্শিদাবাদ বিধানসভা আসনে বর্তমান বিধায়িকা ব্যতিরেকে অন্য যে কোন যোগ্য মানুষকে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস-এর প্রার্থী করুন”।




তবে চোখ কপালে উঠছে চিঠির সাথেই আবেদনকারীদের নামের তালিকা দেখে । দলীয় সিল, প্রশাসনিক কাজের সিল স্ট্যাম্প সহ সই করেছেন রাজীব হোসেনের মতো তৃণমূল কংগ্রেস নেতাও।



অভিযোগকারীদের মধ্যে প্রথমেই নাম আছে মুর্শিদাবাদ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মসরৎ সেখের নাম। সই করেছেন জিয়াগঞ্জের ব্লক সভাপতি দেবাশিস সরকারও।



মুর্শিদাকবাদ পৌরসভার প্রশাসক বিপ্লব চক্রবর্তী, জিয়াগঞ্জ আজিমগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক প্রসেনজিৎ ঘোষ সহ প্রাক্তন কাউন্সিলাররাও বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্রে সই করেছেন। 


সই করেছেন এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির প্রধানরাও। চিঠিতে জেলার এতজন হেভিওয়েট শাসক দলের নেতাদের নাম বাড়িতে গুরুত্ব জুগিয়েছে এই চিঠিকে।
চিঠির প্রতিলিপি জমা দেওয়া হয়েছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুব্রত বক্সী, দলের নেতা অভিষেক ব্যানার্জি এবং জেলা সভাপতি আবু তাহের খানের কাছেও।




বিধানসভা নির্বাচন সামনে আসতে এই চিঠি ঘিরে উত্তাল রাজনৈতিক মহল।
বিধানসভার ভোটের ঢাকে পড়তেই প্রার্থী হওয়ার তোরজোড় শুরু করেছেন অনেক তৃণমূল কংগ্রেস নেতাই। এই চিঠি উসকে দিয়েছে প্রার্থী বিতর্কও।

Post a Comment

0 Comments