হদিশ পাকিস্তান-আফগানিস্তানের চক্রে ১৩২০ কোটি টাকার ড্রাগ বাজেয়াপ্ত এনসিবির

 কোচি, মুম্বই ও গুজরাতে হানা দিয়ে এনসিবি ১৩২০ কোটি টাকার ড্রাগ বাজেয়াপ্ত করল। মুম্বই ও গুজরাত থেকে ১২০ কোটি টাকার ড্রাগ আর কোটি থেকে ২০০ কেজি হেরোইন বাজেয়াপ্ত করা হয়, যার বাজারমূল্য ১২০০ কোটি টাকা। এই ঘটনায় এয়ার ইন্ডিয়ার প্রাক্তন পাইলট-সহ ৬ জন ও ৬ জন ইরানিয়ানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তে নেমে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের একটি ড্রাগ পাচার চক্রের হদিশ পেয়েছে এনসিবি।





নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবি এদিন দেশের বিভিন্ন জায়গায় হানা দেয়। মুম্বই এবং গুজরাট থেকে ৬০ কেজি মেফেড্রোন ড্রাগ উদ্ধার করে। আর কোচি থেকে উদ্ধার করে ২০০ কেজি হেরোইন। ৬০ কেজি মেফেড্রোন ড্রাগের বাজারমূল্য ১২০ কোটি টাকা। আর ২০০ কেজি হেরোইনের বাজারমূল্য ১২০০ কোটি টাকা। 


মোট তিন রাজ্য থেকে ১৩২০ কোটি টাকার ড্রাগ উদ্ধার হয়। এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জয় সিং জানান, গুজরাতের জামনগরে নেভার ইন্টেলিজেন্স ইউনিট দ্বারা প্রাপ্ত সূত্রের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানে নামেন মুম্বই জোনাল ইউনিটের আধিকারিকরা।। ৩ অক্টোবর একটি অভিযান চলে সেখানে ১০ কেটি মেফেড্রোন ড্রাগ উদ্ধার হয়। একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মু্ম্বই থেকে আরও তিনজনকে আটক করা হয়। 



এরপর বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ৬ অক্টোবর এনসিবির ওই দলটি দক্ষিণ মুম্বইয়ের ফোর্ট এলাকায় এসবি রোডের একটি গোডাউনে অভিযান চালায়। সেখান থেকে ৫০ কোটি মেফেড্রোন ড্রাগ উদ্ধার হয়। এর পরে মাদক বিরোধী সংস্থা কার্টেলের কিংপিন-সহ দুজনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের মধ্যে একজন সোহেল গাফর মাহিদা, একজন প্রাক্তন এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলট। 


এনসিবি শুক্রবার ভারতীয় নৌবাহিনীর সঙ্গে যৌথ অভিযান চালিয়ে বিরাট সাফল্য পায়। প্রায় ১২০০ কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার করে। একটি ইরানি মাছ ধরার জাহাজ আটক করা হয়েছে. সেখান থেকেই ২০০ কেজি হেরোইন উদ্ধার হয়। সঞ্জয় কুমার সিং আরও জানান, ৬ ইরানি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। হেরোইন-সহ নৌকাটি মাত্তানচেরির ঘাটে আনা হয়েছিল। 



তিনি আরও বলেন, এই চক্রকে গ্রেফতার করে তাদের আফগানিস্তান ও পাকিস্তান যোগ পাওয়া গিয়েছে। ড্রাগ কার্টেলের অনন্য চিহ্ন ও প্যাকিং বিশেষত্ব রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিছু ওষুধের প্যাকেটে স্কর্পিয়ন সিল চিহ্ন ছিল। অন্যগুলিতে ড্রাগন সিং চিহ্ন ছিল। প্রাথমিক তদন্তে জানতে পারা গিয়েছে ওই ড্রাগ আফগানিস্তান থেকে আনা হয়েছিল। তা পরিবহন করা হয়েছিল পাকিস্তান গিয়ে। পাকিস্তান উপকূল থেকে শ্রীলঙ্কার একটি জাহাজ ভারতীয় জলসীমায় আসার পর তা বাজেয়াপ্ত করা হয়।

Post a Comment

0 Comments