ড্রোনের সাহায্যে চার মৎস্যজীবীর প্রাণ বাঁচিয়ে কেরলে ‘‌হিরো’র তকমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া‌র




সময় যত এগোচ্ছে, ততই এগোচ্ছে প্রযুক্তি। আর এই প্রযুক্তির সাহায্যেই এবার প্রাণ বাঁচল কেরল (Kerala) উপকূলে গভীর সমুদ্রে ডুবতে থাকা চার মৎস্যজীবীর। 


নিজের ড্রোনের সাহায্যে ওই ডুবন্ত মৎস্যজীবীদের বাঁচিয়ে সেখানে এখন রীতিমতো ‘‌হিরো’‌র তকমা পাচ্ছেন ১৯ বছর বয়সি এক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া।



জানা গিয়েছে, ত্রিশূরে (Thissur) নাট্টিক বিচ উপকূল থেকে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার পরই ডুবে যায় মৎস্যজীবীদের নৌকাটি। 



অনেক খুঁজেও সেটির হদিশ মেলেনি। এই খবর জানতে পেরেই সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন দেবাং সুবিল নামে বেঙ্গালুরু ক্রাইস্ট ইউনিভার্সিটির ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া। 


কিন্তু ‘‌এটা ছোটদের কাজ নয়’, একথা বলে তাঁর সাহায্য নিতে অস্বীকার করে কর্তৃপক্ষ। 


এদিকে, প্রচুর সময় কেটে গেলেও মৎস্যজীবীদের খোঁজ না মেলায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন অনেকে। 


শেষপর্যন্ত স্থানীয় বিধায়ক গীতা গোপীর কথায় ওই যুবকের সাহায্য নিতে রাজি প্রশাসনের কর্তারা। এরপরই ড্রোন নিয়ে উদ্ধারকারীদের দলে যোগ দেন সুবিল।



পরবর্তী ঘটনাক্রম জানাতে গিয়ে সুবিল বলেন, উদ্ধারকারীদের বোটটি উপকূল‌ থেকে ১১ নটিক্যাল মাইল দূরে পৌঁছনোর পরই তিনি ড্রোনটি ওড়ান। 


প্রথম ২০ মিনিট প্রচণ্ড হাওয়ার কারণে একটু অসুবিধা হলেও পরবর্তীতে তা ঠিক হয়ে যায়। 


এর মধ্যেই অবশ্য একজন ডুবন্ত মৎস্যজীবীকে দেখা যায় ক্যামেরায়। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে উপকূলরক্ষী বাহিনী। 


এরপর বাকিদেরও ওই স্থানের আশপাশ থেকেই উদ্ধার করা হয়। তবে শেষ ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে এক ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে। 


তিনি আর একটু হলেই ডুবে যাচ্ছিলেন। উদ্ধারের পর  অজ্ঞান হয়ে গেলেও হাসপাতালে প্রাণ বাঁচে ওই ব্যক্তির।



প্রথমে বিশ্বাস না করলেও পরবর্তীতে ওই যুবকের কাজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রশাসনের আধিকারিক থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা। 


কেরল ফিসিং বোট অপারেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামিদিনে উদ্ধারকার্যে ড্রোন ব্যবহার করার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করছেন তাঁরাও।

Post a Comment

0 Comments