বুধবার বহরমপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে এই ভাষাতেই প্রশাসনের আধিকারিকদের চেতাবনি দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। ‘ বেপরোয়া’ আধিকারকদের সতর্ক করেন রাজ্যপাল।
তিনি বলেন, ‘রাজ্যের মানুষের সেবা করতে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ’। নিরপেক্ষ নির্বাচন , হিংসামুক্ত নিশ্চিত করার পক্ষে চেষ্টা করবেন বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘রাজ্যের মানুষের সেবা করতে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ’। নিরপেক্ষ নির্বাচন , হিংসামুক্ত নিশ্চিত করার পক্ষে চেষ্টা করবেন বলে জানান তিনি।
এদিন সার্কিট হাউসে রাজ্যপাল বলেন, “ পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে কিছু বিষয় নিয়ে আমি অত্যন্ত চিন্তিত। কোন প্রশাসন, কোন পুলিশ যদি সংবিধানের এক্তিয়ারের বাইরে যায় , আইনের রাস্তা ছাড়ে, ‘রুল অফ ল’ কে অনুসরণ না করে তাহলে রাজ্যপালের কাছে চিন্তার বিষিয়”।
মুর্শিদাবাদের জেলা পরিষদের সভাধিপতির নিরাপত্তা প্রত্যাহার বিষিয়ে তিনি মন্তব্য করেন, “ রাজনীতির মধ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করা প্রজাতন্ত্র ব্যবস্থায় কুঠারাঘাত হয়েছে”।
তিনি বলেন, “ রুল অফ ল’ এর মূল ভাবনার বিপরীত। আমার খুব অবাক লেগেছে, রাজ্যের কি এই দশা হয়েছে যে আপনার রাজনীতিক আচরন কিছু জনের ঠিক লাগে তো আপনার কাছে নিরাপত্তারক্ষী আছে আর আচরন ঠিক না লাগলে নিরাপত্তার জন্য আপনার হাতকড়াও মিলতে পারে। এটা প্রজাতন্ত্রের মধ্যে হতে পারে না” ।
তিনি বলেন, কারো নিরাপত্তা বিষয়ে আধিকারিকদের দৃষ্টিভঙ্গি রাজনৈতিক ভাবে কাউকে সন্তুষ্ট করার জন্য হলে, তা গণতন্ত্রে গ্রহণযোগ্য নয়।
তেহট্টতে নদীয়ার সাংসদ জগন্নাথ সরকারের সাথে সঠিক ব্যবহার করা হয় নি বলে মত দেন তিনি , এ নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেন।
এই প্রসঙ্গেই বলেন, প্রশাসন এতো বেপরোয়া আচরণ করে রাজ্যপাল চিন্তিত হবেনই।
রাজ্যপালের মন্তব্য ঘিরে সমর্থন, বিরোধিতার মত উঠে আসছে রাজনৈতিক মহল থেকেও।
রাজ্যপালের মন্তব্য নিয়ে ওয়াকিবহাল নন বলেই জানান তৃণমূল নেতৃত্ব।
এদিন রাজ্যপালের সতর্কতা বলেন, “ আমি লাগাতার বলায় অনেকে নিজেদের আচরণ সংশোধন করেছেন। অনেকে এখনও নিজেদের সংশোধন করেন নি। তারা আইনের আওতায় পরবেন”।
এই প্রসঙ্গেই বলেন, প্রশাসন এতো বেপরোয়া আচরণ করে রাজ্যপাল চিন্তিত হবেনই।
ভারতের সংবিধানের এজেন্ট, সংবিধানের সৈনিক। সেই কারণেই চিন্তত। দেশের প্রতিটি কৃষক অ্যাকাউন্টে বারো হাজার টাকা পেয়েছেন ।
দেওয়া হয়েছে মোট বাহান্ন হাজার কোটি টাকা।
রাজ্যের কোন কৃষক এই টাকা পাননি। এই প্রশ্নেও তিনি লাগাতার সরব আছেন বলে জানান।
বেঙ্গল গ্লোবাল সামিটের খরচ নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি।
রাজ্যে বেড়ে চলা রাজনৈতিক হিংসা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল।
রাজ্যে বেড়ে চলা রাজনৈতিক হিংসা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল।
রাজ্যপালের মন্তব্য ঘিরে সমর্থন, বিরোধিতার মত উঠে আসছে রাজনৈতিক মহল থেকেও।
রাজ্যপালের মন্তব্য নিয়ে ওয়াকিবহাল নন বলেই জানান তৃণমূল নেতৃত্ব।
জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কো- অর্ডিনেটর অশোক দাস বলেন, রাজ্যপাল যেখানেই যান সেখানেই শাসক দলের বিরুদ্ধে কথা বলেন। তাই তিনি কি বললেন তাতে কিছু এসে যায় না।
সভাধিপতির রক্ষী বিষয়টি স্থানীয় বিষয়।
তবে ২০২১ এর নির্বাচনের আগে রাজ্যপালের মন্তব্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলে।
তবে ২০২১ এর নির্বাচনের আগে রাজ্যপালের মন্তব্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলে।
0 Comments