২৬টি রাজ্যের ৫৮৪টি জেলার ১৬ হাজারের কিছু বেশি গ্রামের মধ্যে ৫২ হাজারেরও বেশি পরিবারকে বেছে নিয়েছিল সংস্থাটি।
২০১৮ থেকে ২০২০ – এই দু’বছরের হিসেব খতিয়ে দেখেছে তারা।
তাতেই দেখা গিয়েছে, রাজ্যে স্কুলছুটের সংখ্যা ৩.৩ শতাংশ থেকে ১.৫ শতাংশে নেমে এসেছে।
সেখানে জাতীয় ক্ষেত্রে স্কুলছুটের গড় দেখা যাচ্ছে ৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫.৫ শতাংশ হয়ে গিয়েছে।
অন্যদিকে, কর্ণাটকে এই মুহূর্তে স্কুলছুটের সংখ্যা ১১.৩ শতাংশ, তেলঙ্গানায় ১৪ শতাংশ এবং রাজস্থানে ১৪.৯ শতাংশ।
এ নিয়ে স্কুলশিক্ষা দপ্তরের বক্তব্য, ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পে নগদ টাকা পাচ্ছে পড়ুয়ারা।
আর ‘সবুজ সাথী’ প্রকল্পে মিলছে সাইকেল।
এছাড়াও মিড-ডে মিলে পেট ভরা খাবারও পাচ্ছে পড়ুয়ারা।
মিলছে বিভিন্ন স্কলারশিপ, বিনামূল্যে বই এবং স্কুলের পোশাক।
এসব কারণেই স্কুলছুট কমছে বলে মনে করছেন শিক্ষা দপ্তরের ওই কর্তা।
তিনি বলেন, স্কুলছুটের সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনা আমাদের লক্ষ্য।
অন্যদিকে, বেসরকারি সংস্থাটির সমীক্ষা রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, পড়ুয়াদের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিলির নিরিখে শীর্ষে আছে পশ্চিমবঙ্গ।
এ রাজ্যে ৯৯.৭ শতাংশ পড়ুয়ার কাছে স্কুলের বই পৌঁছে গিয়েছে একেবারে নিখরচায়।
পিছনে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাট, অন্ধ্রপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্য।
ওই রাজ্যগুলিতে গড়ে যথাক্রমে ৭৯.৬, ৬০.৪, ৯৫, ৩৪.৬ এবং ৮০.৮ শতাংশ পড়ুয়ার কাছে বই পৌঁছে দেওয়া যায়নি লকডাউনের কারণে।
0 Comments