কৃষি বিল আইনে পরিণত না করার আবেদন নিয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ বিরোধীরা

রাজ্যসভায় পাস হয়ে গেছে বিতর্কিত কৃষি বিল। বিরোধীদের ঘোর বিরোধিতা সত্ত্বেও এই বিল পাস হয়ে গেছে। সংসদের দুই কক্ষেই এই বিল পাস হয়ে যাওয়ায় এখন শুধু এটি আইনের অপেক্ষায়। সেই বিলে রাষ্ট্রপতি যেন সাক্ষর না করেন সেই আবেদন জানাল দেশের ১৮টি বিরোধী দল।



এই বিল পাস করিয়ে সার্বিক মূল্যে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি জানানো হয়। এই বিল নিয়ে রবিবার রাজ্যসভায় দেখা যায় বিশৃঙ্খল চিত্র। রবিবারে বিল পাস করানোকে ‘গণতন্ত্রের নিখুঁত ও সামগ্রিক’ হত্যা বলে অভিহিত করেছেন বিরোধীরা। তাই সেই বিলে সাক্ষর না করার আরজি জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতির কাছে।




একটি চিঠি লিখে এই আবেদন প্রেরণ করা হয়। চিঠিতে লেখা হয়, “আমরা, ভারতের রাজনৈতিক এবং ভৌগলিক বর্ণালী জুড়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির অন্তর্ভুক্ত, গণতন্ত্রের সবচেয়ে পবিত্র মন্দিরটিতে বিদ্রূপাত্মকভাবে গণতন্ত্রের নিখুঁত ও সামগ্রিক হত্যার প্রতি আপনার জরুরি মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য শ্রদ্ধার সঙ্গে আপনার কাছে এই প্রতিনিধিত্বটি নিয়ে আসছি।”




“আমরা প্রার্থনা করি যে আপনি বিলগুলি ফিরিয়ে দিন এবং আপনার স্বাক্ষর সংযোজন করবেন না। আমরা প্রার্থনা করি যে এই জাতীয় কালো আইন যাতে পরিণত না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য আপনি সাংবিধানিক ও নৈতিক সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করুন …”



রবিবার রাজ্যসভায় বিরোধী সদস্যরা কেউ টেবিলে উঠে পড়ে ন, কেউ বিধি বই পুড়িয়ে দেন, কাগজপত্র ছিঁড়ে ফেলেন এমন নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে রবিবার রাজ্যসভায় কৃষকদের জন্য বড় ধরনের সংস্কার আনার যে তিনটি খামার বিল সরকার পাস করিয়েছে। “নিরপেক্ষ আচরণ” করার জন্য আট সদস্যকে আজ সাময়িক বরখাস্তও করা হয়েছে তবে তারা এই সংসদ ত্যাগ করতে অস্বীকার করায় রাজ্যসভায় পাঁচদিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।




প্রসঙ্গত, বিরোধীদের প্রবল হইহট্টগোলের মধ্যে রাজ্যসভায় পেশ হয়েছিল বিতর্কিত কৃষি বিল৷ কেন্দ্রীয় কৃষি উন্নয়ন, কৃষক কল্যাণ এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার বিলটি রবিবার পেশ করেন৷ তিনি বলেন, বিলগুলি ঐতিহাসিক৷ কৃষকদের জীবনে আমূল পরিবর্তন আসবে৷ কৃষকরাই তাঁদের উৎপাদিত পণ্য দেশের যেকোনও প্রান্তে গিয়ে বিক্রির সুযোগ পাবে৷ এই বিলের সঙ্গে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের কোনও সম্পর্ক নেই৷

Post a Comment

0 Comments