মহাশূন্যে সাপের চোখ! নাসার ছায়াপথ ছবি নিয়ে তোলপাড় বিশ্বজুড়ে!



এনজিসি ২৮৩৫ ছায়াপছের ছবি প্রকাশ্যে এনে সাড়া ফেলে দিল নাসা। নাসার ক্যামেরায় ধরা পজডা ছায়াপথটি দেখতে সাপেরর শরীরের মতো। কেন্দ্রের অংশটি ঘন কালো। আর বাইরের দিকটা তেমনই উজ্জ্বল।





সম্প্রতি হাবল মহাকাশ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের টেলিস্কোপে ছায়াপথের একটি ছবি ধরা পড়েছে। সেখানেই সাপের মতো হিলহিলে শরীর ও সাপের চোখের  এই মতো অবয়ব ধরা পড়েছে।




গভীর ভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, ছায়াপথের প্রান্তগুলি খানিকটা সর্পিল আকারের। সে জন্যই এই অংশটিকে সাপের মতো মনে হয়। আর তার কাছের নক্ষত্রবেষ্টিত অংশটিকে মনে হয় যেন সাপের চোখ। তবে, প্রথমবার কেউ দেখলে চোখ ধাঁধিয়ে যাওয়া সম্ভাবনা প্রবল।




এই ছায়াপথের বাইরের দিকগুলি উজ্জ্বল নীল রঙের। যা কোনও নতুন নক্ষত্রের গঠন বা আবিভার্বের ইঙ্গিত দিচ্ছে। আর কেন্দ্রের অংশটি ঘন কালো । বিজ্ঞানীদের অনুমান, সূর্যের থেকেও কয়েক লক্ষ গুণ বড় এই ব্ল্যাক হোল। ইনস্টাগ্রামে মহাকাশের এই অপূর্ব সুন্দর ছবিটি শেয়ার হওয়ার পর থেকেই, তা নজর কেড়েছে নেটিজেনদের। ইতিমধ্যে এক লক্ষ পেরিয়েছে লাইকের সংখ্যা।




হাবল পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতদৃষ্টিতে মহাকাশের এই চোখের মতো দেখতে অংশটি হল এনজিসি ২৮৩৫ ছায়াপথের হাইড্রার দক্ষিণ নক্ষত্রের একটি ভাগ। যেটি নক্ষত্রের মাথার অংশটি একত্রিত হয়ে আছে। এটিকে ওয়াটার স্নেক নামেও ডাকা হয়। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই ছায়াপথের অংশটির প্রস্থ আমাদের নিজস্ব ছায়াপথের প্রায় অর্ধেক। এর কেন্দ্রের অংশটি সম্ভবত অসংখ্য নক্ষত্রের উপস্থিতিতে আরও দৃঢ় ও ঘন দেখায়। তবে এক সংবাদ মাধ্যমে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মহাকাশ সংস্থা যে ছবিটি প্রকাশ করেছে, তাতে স্পষ্ট ভাবে দেখা না গেলেও এই ছায়াপথের কেন্দ্রে একটি বেশ বড় আকারের ব্ল্যাকহোল রয়েছে।



প্রসঙ্গত, ছবিটি হাবল পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে চলা একটি প্রজেক্টের অংশ। ফ্যাংস-এইচএসটি নামে হাবল পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের এই সমীক্ষার লক্ষ্য হল মহাকাশে নতুন নক্ষত্র ও নানা গ্যাসের সঙ্গে তাদের সংযোগে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা।




Post a Comment

0 Comments